রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
জিয়াউর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার (জগন্নাথপুর): অলইতলী-কাতিয়া গ্রামের বহু আলোচিত মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা ও মসজিদ সংক্রান্ত বিরুদ আপোষে মিমাংসা হয়েছে। শত শত মানুষের উপস্থিতি ও চার উপজেলার (বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর, নবীগঞ্জ, জগন্নাথপুর) বিশিষ্ট বিচারকবৃন্দের উপস্থিতে নিম্নে সিদ্ধান্তবলীতে আপোষে মিমাংসা হয়েছে বলে গৃহীত হয়। ১. কাতিয়া গ্রাম থেকে বিশিষ্ট ২১ সদস্য কমিটি গঠন করে বাজারের মসজিদের কাজ শুরু হোক। যাঁদের জায়গা মসজিদের ভিতর আছে, তাঁদের অনুমতিক্রমে ওয়াকফকৃত দলীলের মাধ্যমে স্বত্বাধিকারীর কাছ থেকে জায়গা নেয়া হোক। ২. বাজারের আশপাশ যেসব এজমালি জায়গা নিজ নামে রেকর্ড করেছেন সেসব জায়গা নিজ দায়িত্বে ছেড়ে দিতে হবে। প্রকৃত জায়গার মালিক সেসব জায়গা বুঝে নিবেন। ৩. মসজিদের নামে চাঁদাবাজি মামলা সকলের জানা ইহা মিথ্যা মামলা। এই মিথ্যা মামলায় গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী হাজি জিতু মিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করে অপরপক্ষের মুরুব্বীদের বলা হয় সন্তোষ করার জন্য। তখন বিবাদি আফজল মিয়া, জয়নাল মিয়া, শাহাবুদ্দীন, গুলাম রাব্বানী প্রমুখ সন্তুষ্ট করেন এবং উভয় পক্ষের মুরুব্বিগণ একে অপরকে মুয়ানাকা ও কথাবার্তার মাধ্যমে মনোমালিন্য দূর করেন। ৪. মামলা উভয় পক্ষকে বলা হয় নিজ দায়িত্বে তুলে নেয়ার জন্য। মামলা তুলতে আইনি সহায়তা করবেন জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, পাইলগাও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মখলিছুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দীন, দাওরাই গ্রামের এজাজুল। ৫. এখন থেকে গ্রামে এক পাঞ্চাইত আছে বলে গণ্য হবে। ৬. ঐতিহ্যবাহী কাতিয়া গ্রামের ঐতিহ্য বজায় রেখে এক হয়ে চলার জন্য বিশেষ অনুরুদ জানানো হয়। অবশেষে কাতিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা এমদাদুল্লাহর দুয়ার মাধ্যমে শালিসি বৈঠক সমাপ্তি হয়।